গাইবান্ধা জেলার ইতিহাস
গাইবান্ধা জেলায় রয়েছে মোট সাতটি উপজেলা। নিচে সেগুলো দেয়া হলঃ
- গাইবান্ধা সদর উপজেলা
- ফুলছড়ী উপজেলা
- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা
- পলাশবাড়ী উপজেলা
- সাদুল্লাপুর উপজেলা
- সাঘাটা উপজেলা এবং
- সুন্দরগঞ্জ উপজেলা
জেলার পটভূমিঃ
আজ থেকে প্রায় ৫২০০ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় বিরাট নামক এক রাজার রাজধানী ছিল। বিরাট রাজার প্রায় ৬০ হাজার গাভী ছিল। সেই গাভী বা গাই বান্ধার স্থান হিসেবে গাইবান্ধা নামটি এসেছে বলে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে। ১৯৮৪ ইং সালের ১৫ই আগস্ট বুধবার, ২রা ফাল্গুন ১৩৯০ বাংলা, ১২ই জমাদিউল আউয়াল ১৪০৪ হিজরি সনে গাইবান্ধা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সীমানা রেখাঃ
গাইবান্ধা জেলার উত্তরে তিস্তা নদী এবং কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলা, উত্তর-পশ্চিমে রংপুর জেলার পীরগাছা এবং পশ্চিমে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর ও পিরগঞ্জ উপজেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা, পশ্চিম-দক্ষিনে জয়পুরহাট জেলার কালাইহাট উপজেলা এবং দক্ষিনে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা ও সোনাতলা উপজেলা এবং পূর্ব পাশে বহমান ব্রহ্মপুত্র নদ।
আয়তনঃ
গাইবান্ধা জেলায় রয়েছে ৭টি উপজেলা, ৮২টি ইউনিয়ন, ১১০৬টি মৌজা, ১২৪৯টি গ্রাম এবং ২টি পৌরসভা। গাইবান্ধা জেলার মোট আয়তন ২১৭৯.২৭ বর্গ কিলোমিটার (১০৭.৭ নদীয় আয়তন সহকারে)। এই জেলায় জনসংখ্যা রয়েছে মোট ২৪,৩০,৯২৭ জন (পুরুষ ১২,৩০,৯৩৮ জন এবং নারী ১১,৯৯,৬৮৯ জন) বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন অনুযায়ী।
পজেলা সমুহঃ
অর্থনীতিঃ
গাইবান্ধা জেলায় ক্ষুদ্র শিল্প ১৬২১ টি, মাঝারি শিল্প ২ টি এবং বৃহৎ শিল্প ১ টি রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানঃ
- বালাসি ঘাট (গাইবান্ধা সদর)
- দ্বেগার বাজার মাজার (দ্বেগার বাজার, গাইবান্ধা)
- শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ছাইতান তলা, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা)
- গাইবান্ধা পার্ক (গাইবান্ধা)
- রংপুর চিনিকল (মহিমাগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা)
- বর্ধন কুঠি (গোবিন্দগঞ্জ)
- মীরের বাগানের এইতিহাসিক শাহসুলতান গাজীর মসজিদ (দাড়িয়াপুর, গাইবান্ধা)
তথ্য সুত্রঃ
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- উকিপিডিয়া.কম
