ফরিদপুর জেলার ইতিহাস

ফরিদপুর জেলার ইতিহাস
 বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ফরিদপুর
জেলা

বাংলাদেশে ফরিদপুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩০′০″ উত্তর ৮৯°৪৯′৪৮″ পূর্ব উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
আয়তন
 • মোট২০৭২.৭২ কিমি(৮০০.২৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2001)[১]
 • মোট১৭,৪২,৭২০
 • ঘনত্ব৮৪০/কিমি (২২০০/বর্গমাইল)
স্বাক্ষরতার হার
 • মোট৪৩.৯৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ২৯
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট Edit this at Wikidata

ভৌগোলিক সীমানাসম্পাদনা

আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার, ফরিদপুর জেলা ৮৯.২৯০ পূর্ব হতে ৯০.১১০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২৩.১৭০ উত্তর হতে ২৩.৪০০ উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত, উত্তরে রাজবাড়ি জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা জেলা ও নড়াইল জেলা এবং পূর্বে ঢাকা জেলামাদারিপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা অবস্থিত।



ইতিহাস
সম্পাদনা

ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ’’। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭ খ্রিঃ ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারিপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহকুমা সমন্বয়ে ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতা পায়। বর্তমানে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ফরিদপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর ও শরিয়তপুর এই পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
এই এলাকার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে গেরদা মসজিদ (১০১৩ হিজরি), পাথরাইল মসজিদ ও দিঘী (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ), সাতৈর মসজিদ (১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ)। এলাকার অন্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো ফতেহাবাদ টাঁকশাল (১৫১৯-৩২ খ্রিস্টাব্দ), মথুরাপুরের দেয়াল, জেলা জজ কোর্ট ভবন (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ), এবং ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ), বসুদেব মন্দির ও জগবন্ধু আঙিনা।[২]
তৎকালিন ফরিদপুর এর মাদারিপুর থেকে হাজি শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলন শুরু করেন। শরীয়তুল্লাহের পুত্র দুদু মিয়ার নেতৃত্বে এখানে নীল কর বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো আলফাডাঙা উপজেলার মীরগঞ্জে, যার ম্যানেজার ছিলেন এসি ডানলপ। এ জেলার ৫২টি নীল কুঠি এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। গড়াই, মধুমতি ও বরশিয়া নদীর তীরে নীল চাষ হতো।
জেলা শহর বর্তমানে কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। ফরিদপুর পৌরসভা সৃষ্টি হয় ১৮৬৯ সালে। ৯টি ওয়ার্ড ৩৫টি মহল্লা নিয়ে জেলা শহর গঠিত। এর আয়াতন ২০.২৩ বর্গ কিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা

ফরিদপুর জেলায় মোট পৌরসভা ৪টি, ওয়ার্ড ৩৬টি, মহল্লা ৯২টি, ইউনিয়ন ৭৯টি, গ্রাম ১৮৫৯টি। মোট উপজেলা ৯টি। সেগুলো হচ্ছেঃ

নির্বাচনী এলাকাসমূহসম্পাদনা

ফরিদপুর ১ : বোয়ালমারী, মধুখালি,আলফাডাঙ্গা।
ফরিদপুর ২: নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন।
ফরিদপুর ৩: ফরিদপুর সদর।
ফরিদপুর ৪: ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা (কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ব্যতিত)।

প্রত্নসম্পদসম্পাদনা

অর্থনীতিসম্পাদনা

দেশের প্রধান পাট ফলনশীল জেলা ফরিদপুরে সুস্বাদু ধানইক্ষুগমপেঁয়াজসরিষা সহ নানা ফসল উৎপন্ন হয়। ফরিদপুরের পদ্মার ইলিশ জগৎখ্যাত হয়ে আছে আজও। আকাশ ও উজান থেকে আসা পানির উপযোগিতায় ফরিদপুরে কৃষির সম্প্রসারণ হয়েছে অভাবিত। এখনও কৃষিই এখানকার অর্থনীতির প্রাণ। প্রমত্তা পদ্মা, কোল থেকে ভূবনেশ্বর ও আড়িয়াল খাঁ, কুমারমধুমতিগড়াইচন্দনাবারাশিয়া নদী মানুষের হাতে সোনার ফসল ও মাছসহ অনন্য সম্পদ তুলে দিয়েছে।

চিত্তাকর্ষক স্থানসম্পাদনা

পদ্মার চরে সূর্যাস্ত
  • নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট
  • টেপাখোলা সুইচ গেট
  • ধলার মোড় (পদ্মার পাড়)
  • রাজেন্দ্র কলেজ (সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ)
  • পদ্মা বাধ
  • পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাসভবন।
  • আটরশী বিশ্ব জাকের মঞ্জিল
  • পদ্মা নদীর বালুচর,সি এন্ড বি ঘাট
  • শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন (hindu temple)
  • শেখ রাসেল শিশু পার্ক (amusement park)
  • তালমা মোড় (গরুর খামার)
  • অম্বিকা ময়দান
  • ফরিদপুর জেলা জজ কোর্ট ভবন
  • ফলিয়া মুন্সী বাড়ি ,আলফাডাঙ্গা
  • মীরগঞ্জ নীল কুঠি,আলফাডাঙ্গা

জনসংখ্যাসম্পাদনা

১৭,৪২,৭২০ জন (২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)[১]
  • পুরুষ- ৮,৯৩,২৮০ জন
  • মহিলা- ৮,৪৯,৪৪০ জন

শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা

ফরিদপুর জিলা স্কুল(১৮৪০ এই জেলায় শিক্ষার হার ৪৩.৯৫%[৩]। এখানে মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ৪২৪টি; তারমধ্যে :
  • সরকারী কলেজঃ ৮টি;
  • বেসরকারী কলেজঃ ২৪টি;[৪]
  • সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ৬[৪](ছয়)টি
  • বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ১৮[৪] ৯টি
  • জুনিয়র হাই স্কুলঃ ৫২টি[৪]
  • মেডিকাল কলেজ : ২টি;
  • মাদ্রাসাঃ ১৪১টি;
  • কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ ৯টি।
এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি,ফরিদপুর,সরকারি রাজেন্দ্র কলেজফরিদপুর মেডিকেল কলেজফরিদপুর ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসরকারি ইয়াছিন কলেজসারদা সুন্দরী মহিলা কলেজফরিদপুর জিলা স্কুলচরমাধবদিয়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়মহিম ইনিস্টিটিউট। কাসিমুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা নগরকান্দা

প্রধান শস্যসম্পাদনা

ফরিদপুর জেলায় প্রধান শস্যর তালিকায় রয়েছে, ধানপাটইক্ষু(আখ), গমপেয়াজসরিষাডাল ও মরিচ। এর মধ্যে রপ্তানী যোগ্য পণ্য পাট, পিয়াজ, ডাল, খেজুরের গুড় ইত্যাদি।

কৃতী ব্যক্তিত্বসম্পাদনা

চিত্রাশালাসম্পাদনা

Post a Comment

Previous Post Next Post
IFRAME SYNC
IFRAME SYNC
IFRAME SYNC

Contact Form