উত্তরবঙ্গে পরিবেশের ক্ষতি করছে ইউক্যালিপ্টাস গাছ

উত্তরবঙ্গেই ইউক্যালিপ্টাস গাছের সংখ্যা বেশি।সচেতনতার অভাব।

বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে একে একে পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও,দিনাজপুর,নীলফামারী,রংপুর, কুড়িগ্রাম,লালমনিরহাট,গাইবান্ধা,জয়পুরহাট,নওগাঁ, বগুড়াতে আশ্চর্যজনকভাবে একটি গাছ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে,সেটি ইউক্যালিপটাস।

ইউক্যালিপ্টাস গাছের ক্ষতিকর দিকসমূহঃ

১.ইউক্যালিপটাস এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যায়।
২.সেচ সমস্যার সৃষ্টি করে।
৩.১০-১২ ফুট সীমানার পানি শোষণ করে।
৪.এর আশে পাশে অন্য গাছ বা ফসল জন্মাতে পারে না।
৫.পাতা ও রেণু মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
৬.পাখি বাসা বাধতে পারে না।
৭.বেশি পানি শোষণের ফলে উত্তরবঙ্গ মরুভূমির আকার ধারণ করছে।
৮.পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ ২৪ ঘন্টায় ৯০ লিটার পানি শোষণ করে মাটিকে শুষ্ক করে তোলে।
৯.এ গাছ লাগানোর ২০-৩০ বছর পর,পাশাপাশি অন্য গাছ জন্মাতে পারে না।
১০.অতিরিক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
১১.পাতা সহজে পচে মাটিতে মিশে না।
১২.পুকুরের পানি দূষণ করে।
১৩.ইউক্যালিপটাস এর মাধ্যমে দাবানল সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকট।
১৪.মাটির গভীরে সর্বোচ্চ ৩০-৩৬ ফুট পর্যন্ত যায়,ইত্যাদি।



বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষতিকর গাছ হিসেবে ইউক্যালিপটাসের চারা রোপণ ও বিপণন বন্ধ করতে বললেও স্বল্প সময়ে কাঠ বিক্রি করে লাভের আশায় উত্তরবঙ্গ হয়ে পড়ছে আরো শুষ্কতম।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এভাবে ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ,বিপনন করলে উত্তরবঙ্গের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে।এমতাবস্থায় ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান বন বিভাগ,পরিবেশ অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহবান করেছেন পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক পরিবেশ কর্মী এরশাদুল হক রঞ্জু।

সংগৃহীত

সেয়ার করে সবাইকে অবগত করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post
IFRAME SYNC
IFRAME SYNC
IFRAME SYNC

Contact Form